বাংলা স্কুপ, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪: 
সাধারণত পুরুষের ৪০ এবং নারীদের ৩৫ বছর বয়স হওয়ার পর থেকে মেরুদণ্ডে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। সাধারণত সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাব ও জীবনযাপনের ভুল পদ্ধতি অনুসরণের কারণে হাড় ক্ষয় হয়।

মেরুদণ্ডে হাড় ক্ষয় হওয়ার কারণ
১/ বয়স বৃদ্ধি দেহের, জন্য প্রয়োজনীয়  হরমোন তৈরি না হওয়া বা সঠিকভাবে কাজ করতে না পারা।

২/  বাড়ন্ত বয়সে খেলাধুলা ও পুষ্টিকর খাবারের অভাব, গর্ভাবস্থা ও দুগ্ধদানকালে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, মেয়েদের পিরিয়ড হওয়ার সময় পুষ্টিকর খাবারের অভাবে পরবর্তী সময়ে হাড় দুর্বল হয়ে যায়।

৩/  অতিমাত্রায় শারীরিক পরিশ্রম কিন্তু সেই অনুপাতে অপর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ।

৪/  অনেক বছর ধরে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, রক্তশূন্যতা, নিয়মিত সূর্যের আলোতে না থাকা।

৫/  অনেক বছর ধরে অতিমাত্রায় খাবার নিয়ন্ত্রণ, অতিরিক্ত ব্যায়াম বা কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দুর্বল হয়ে পড়তে পারে হাড়।


হাড়ক্ষয়  হওয়ার প্রতিকারের উপায়

১/ নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার যেমন শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেতে হবে।

২/ বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৩/ নিয়মিত হাঁটাচলা, বাসার কাজে অংশগ্রহণ, যতটা পারা যায় সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে হবে।

৪/ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বা কোনো অসুখ থাকলে সেই মোতাবেক চিকিৎসা করাতে হবে।

৫/ বাড়ন্ত বয়স, গর্ভাবস্থা, দুগ্ধদানকাল, মেয়েদের পিরিয়ডের সময় বা বড় কোনো অপারেশন হওয়ার পরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।

৬/ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মেরুদণ্ডের ব্যথা কমানোর ওষুধ খাওয়া অনুচিত।

৭/ যাঁদের অতিমাত্রায় শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়, তাঁদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

হাসিবুর বাশার/এসকে